স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে ৬০ চবি শিক্ষার্থী আহত, আজকের সব পরীক্ষা স্থগিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ জনে। এর মধ্যে গুরুতর আহত ২১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর আজ সকাল থেকেই পুরো ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এছাড়া আহতের কথা বিবেচনায় নিয়ে আজকের সব পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

Aug 31, 2025 - 09:37
Aug 31, 2025 - 09:43
 0  1
স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে ৬০ চবি শিক্ষার্থী আহত, আজকের সব পরীক্ষা স্থগিত
ছবি: সময় টিভি থেকে সংগ্রহ করা। ( একজন আহত শিক্ষার্থীকে দিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে)

আহত এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আহত এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

রোববার (৩১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের পরীক্ষাও ছিল। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।'

এর আগে শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত সোয়া ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী তার ফ্ল্যাট বাসায় প্রবেশ করতে চাইলে তাকে মারধর করে বাসার দারোয়ান। তবে আশেপাশের শিক্ষার্থীদের দেখে দারোয়ান পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ শুরু হয় ।

 

এ ঘটনার জের ধরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার দিবাগত রাত ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেইট সংলগ্ন এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বহু শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে স্থানীয়রা।

 

চবি মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, ‘বহু শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। আমরা তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। যাদের অবস্থা খুবই গুরুতর আমরা তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’

 

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে রাত ৩টা ২০ মিনিটে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।